বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিন রাত ১২টার দিকে প্রথমে অভিযান চালানো হয় লেবুর ট্রাকে। চালকদের সঙ্গে কথা বলে ভোক্তা অধিদপ্তর জানতে পারে কৃষকের কাছ থেকে প্রতি বস্তা লেবু কেনা হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়। প্রতি বস্তায় লেবু থাকে ৭০০ থেকে ৮০০ পিস। প্রতি বস্তায় ভাড়াবাবদ খরচ হয় প্রায় ৩০০ টাকা। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কৃষক থেকে গড়ে প্রতি পিছ লেবু কেনায় খরচ হয় সাড়ে তিন থেকে চার টাকা। এরপর পাইকারি আর খুচরা এই দুটি হাত বদলেই প্রতি পিছ লেবুর দাম উঠে যায় ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
কারওয়ানবাজারে নিয়মিত বাজার করেন ক্রেতা বলেন, লেবুর দাম পাইকারি পর্যায়ে কম। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
এরপর অভিযান চালানো হয় বেগুনের আড়তে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন। রাত দেড়টায় অভিযান চালানো হয় তরমুজের আড়তে। মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের পাইকাররা কৃষকের কাছ থেকে ৯ থেকে ১০ কেজি ওজনের এক শ পিস তরমুজ কিনছেন ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায়। সেই তরমুজ তারা পাইকারিতে বিক্রি করছেন ৩৫ হাজার টাকা দরে। পাইকারদের ভাষ্যমতে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস তরমুজের দাম পড়বে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
তবে লেবু, বেগুন ও তরমুজের পাইকাররা মৌখিকভাবে পাইকারি দাম বললেও কেউই পণ্য কেনার কোনো রশিদ দেখাতে পারেনি। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার কারণে মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের দুইজন পাইকারি ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এভাবে লেবু ও বেগুনের কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, পাইকারি পর্যায়ে তরমুজ আর বেগুনের অস্বাভাবিক দাম দেখা গেছে। তবে কৃষক প্রকৃতপক্ষে কত দর পায় তা খোঁজ নেওয়া হবে। অভিযান প্রতিদিন চলবে। কেউ অযৌক্তিক দাম নিলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।