লাখ-লাখ মানুষ কর্মহীন ও পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সকল হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাট। তাদের হাতে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, শুকনো খাবার স্যালাইন জরুরী হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি পানিবন্দি মানুষের সাহায্যার্থে।
একমাসের ব্যবধানে আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বন্যায় উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক ঘর বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মন্দির।
উপজেলা পরিষদের সকল কার্যালয় বাসা-বাড়ি, থানা, হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকেছে। ছাতকের সব এলাকায় এখন থৈ থৈ করছে পানি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সুরমা নদীতে খেয়া পারাপারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) থেকে এখানে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদীসহ সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ও নদ- নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। হাজার-হাজার মানুষ বিভিন্ন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয়হীন মানুষ পানিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নিজের গবাদিপশু নিয়ে। অধিকাংশ এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে ছাতক-সিলেট রেল লাইনও। এখানে বন্যা আর মানুষের আর্তনাদ একাকার হয়ে পড়েছে।