মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অভিযান চালিয়ে বিপন্ন প্রজাতির চারটি প্রাণী উদ্ধার করেন বন বিভাগ ও র্যাব সদস্যরা। ১৩ দিন লাউয়াছড়া পশুপাখি সেবা আশ্রমে রেখে প্রাণীগুলো পরিচর্যা করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দুটি প্রাণী অবমুক্ত করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন বিভাগ ও র্যাব সদস্যরা গত ৪ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের বার্ড ব্রিডিং পার্ক জালালিয়া রোড থেকে অতিবিপন্ন প্রজাতির চারটি প্রাণী উদ্ধার করে। প্রাণীগুলো হলো-দুটি বাঁশ ভাল্লুক, একটি খাটো লেজ বানর ও একটি হিমালয়ান শকুন। উদ্ধার করা প্রাণীগুলোর মধ্যে দুটি বাঁশ ভাল্লুক লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়। আর খাটো লেজ বানর ও হিমালয়ান শকুন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।
দুটি বাঁশ ভাল্লুক অবমুক্তকালে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারস্থ বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালযের প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ ও সহকারী অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, ৪ আগস্ট উদ্ধারের পর প্রাণীগুলো সেবা আশ্রমে ১৩ দিন রেখে পরিচর্যা করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন কর্মকর্তা (মৌলভীবাজার) মো. রেজাউল করিম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দুটি বাঁশ ভাল্লুক অবমুক্ত করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এগুলো বিপন্ন প্রজাতির।