ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিতে বাধা দেয়ায় মৃতের স্বজনদের হামলায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত এক এসআইসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার বিকেলে জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলের দায়িত্বে থাকা এসআই মো. নাজমুল, মেডিকেলের ব্রাদার শাহাদত হোসেন, ট্রলিম্যান মো. ইসাহাক ও মো. সবুজ। আহতদের মধ্যে এসআই নাজমুল ও ব্রাদার শাহাদতকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কাংশি গ্রামের বাসিন্দা ও ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু আনছারের (৪৮) মাথায় গাছের ডাল পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মেডিকেলে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর দ্রুত মরদেহ নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করতে চাইলে এসআই নাজমুল তাদেরকে জানান ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নেয়া আইন পরিপন্থী। এ কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আনছারের স্বজনরা। আনছারের স্বজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. হান্নান ও নিহতের স্ত্রী আছমা বেগমসহ ৭/৮ জন মরদেহ নেয়ার জন্য তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তারা এসআই নাজমুলের ওপর হামলা চালান। নাজমুলকে রক্ষা করতে গেলে অন্যদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্তের প্রয়োজন হয়। এ বিষয়টি মৃতের স্বজনরা কোনোভাবেই বুঝতে চাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে তারা হামলা চালালে এসআইসহ ৪ জন আহত হন।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামা জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নেয়াকে কেন্দ্র করে হামলা চালানো হয়। পরবর্তীতে মানবিক দিক বিবেচনা করে পুলিশ কমিশনার মোশারেফ হোসেনের নির্দেশে মরদেহসহ হামলাকারীদের ছেড়ে দেয়া হয়।