ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখা বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদদের এক কোটি দশ লাখ টাকার চেক, সঞ্চয়পত্র ও ফ্ল্যাটের জন্য বরাদ্দপত্র দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রদেয় সহায়তা হস্তান্তর করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে আমরা একজন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। আমার জানা নেই, বিশ্বের আর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো এতটা ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ কি না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে আমাদের ক্রীড়াঙ্গন। ক্রিকেট, আর্চারী, শুটিং, হকি, দাবা, সুইমিং ও ফুটবলসহ সকল খেলায় আমাদের খেলোয়াড়রা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক সাফল্য নিয়ে আসছেন। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় করছি। এসএ গেমসে আমরা রেকর্ড সংখ্যক স্বর্ণ পদক অর্জন করেছি। আমাদের আর্চার রোমান সানা টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেও তিনি ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। স্পেশাল অলিম্পিকেও আমরা ভালো করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সুখে দুঃখে সবসময় আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে থাকেন। স্পোর্টসের উন্নয়নে বা যে কোনো ক্রীড়াবিদ বা ক্রীড়া সংগঠকের যে কোনো সমস্যাই তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আজকের এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত ১ কোটি ১০ লাখ টাকার চেক/সঞ্চয়পত্র ও ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র বিতরণ করছি। ক্রীড়াঙ্গনকে এভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ক্রীড়া মোঃ মোশাররফ হোসেন মোল্লা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।