মাধবপুর প্রতিনিধি:
মাধবপুরে সৌদিআরবে মানবপাচারের শিকার এক মেয়েঃউদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের চৌমুহনী ইউপির কমলপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়া কন্যা ইয়াসমিন বেগম (১৫) ও তার মাতাকে প্রলুব্ধ করে পিতার অনুমতি ছাড়া ফ্রি ভিসায় নাবালিকা মেয়েটাকে(জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি তৈরির মাধ্যমে জাল করে পাসপোর্টে বয়স/ঠিকানা কমিয়ে) এর মাধ্যমে সৌদিআরব প্রেরণ করেছে ২৭-২০২২ তারিখে কাশেম নামের ট্রাভেল এজেন্সি এক প্রতিনিধি।সে ট্রাভেল এজেন্সির নামও প্রকাশ করছে না।পরে জানা গেছে ট্রাভেল এজেন্সির নাম: শান ওভারসিস, আরামবাগ,ঢাকা।যার রিক্রুটিং লাইসেন্স নং আরএল ৭৫৯
।মেয়ের পিতা কুদ্দুস মিয়া পরে ঘটনা জানতে পেরেছে।মেয়েটি অনেক কষ্টে তার পিতার সাথে ইন্টারনেটে ইমুর মাধ্যেম যোগাযোগ করে তার উপর পাশবিক অত্যাচারের বর্ননা দিচ্ছেন।সেই রেকর্ডিং গনমাধ্যমেও প্রচার হয়েছে।মেয়েটি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। মেয়েটির পিতা কুদ্দুস মিয়া ও তার আত্মীয়-স্বজন আমাদের দাবী অনতিবিলম্বে মেয়েটিকে উদ্ধার করা।গতকাল প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রির দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতারক চুক্তিভঙ্গকারী ট্রাভেল এজেন্সি ও দালাল এর সাথে সংযুক্ত সংঘবদ্ধচক্রকে আইনের আওতায় আনার প্রার্থনা জানাচ্ছি।
স্থানীয় সাংবাদিক মুজাহিদ মসি জানান,মেয়েটির বয়স কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের কয়েকটি সংস্থা জড়িত।মেয়ের বাড়ি মাধবপুরের কমলপুরে সেখানেই তার জন্মনিবন্ধনও করা।এনআইডি পরিবর্তনের জন্য জন্ম নিবন্ধনের পরিবর্তন করতে হয়।চৌমুনী ইউনিয়ন পরিষদের তার জন্ম নিবন্ধন করা তাহলে কিভাবে চুনারুঘাটে ঠিকানা দিয়ে জন্ম নিবন্ধন তৈরি হল।মেয়েটির বৃদ্ধি করা হয়েছে।সে ক্ষেত্রে স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রয়োজন হয়।পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রেও পিছনে তার স্থায়ী ঠিকানা ভেরিফিকেশন করতে হয়। এক্ষেত্রেও কারসাজি হয়েছে। পুরো একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেয়েটির বয়স কমিয়ে ঠিকানা পরিবর্তন করে অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
দালালের ঠিকানাঃ
কাশেম মিয়া
প্রোপাইটরঃ কাশেম ডেকোরেটার্স,আমতলী বাজার, চুনারুঘাট,হবিগঞ্জ।
মোবাইলঃ01714970765