মোঃ মোকাররম হোসাইন
কালাই জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
আসন্ন রমজানের শুরু থেকেই কালাইয়ে নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগে গেছে। চাল, ডাল, তেল,মাছ, গরুর মাংস, সবজিসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে । এর ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে । এ দিকে বিক্রেতারা বলছেন দৈনিক বাজারে বাড়ছে নিত্যপণ্যের সহ সকল প্রকার জিনিসপত্র দাম ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, কালাই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভারসহ সব এলাকার হাট বাজারে, যেমন, উদয়পুরহাট, পুনটহাট, মাত্রাইহাট, বৈরাগীহাট, কালাইহাট , মোলামগাড়ীহাট, হাতিয়র বাজার ও কালাই বাসস্ট্যান্ডে এলাকার কাঁচাবাজার, পাচঁশিরা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানে শুরু থেকেই হাট-বাজারে দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১৫-৬০ টাকা । বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৮০ থেকে টাকা, কাঁচামরিচ ৯০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা,আলু ৩০ টাকা, টমেটো ৫০টাকা, পটল ৬০টাকা, গাজর ৬৫ টাকা, সজিনা ১১০ টাকায়, মিষ্টি-কুমড়া ৩৫ টাকায়,। প্রতি কেজি রসুন ১১৫ টাকা, আদা ১২৫টাকা, খেসারি ডাল ১০০টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, চিড়া ৭৫ টাকা, মুড়ি ৮৫ টাকা,।
বিক্রেতারা বলছেন বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় বাড়ছে দাম । তাছাড়া পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়া বেশি দামে বিক্রি করছি ।
উদয়পুর বাজারের কিনতে আসা ক্রেতা শাহজালাল বলেন, বেগুন, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা-মরিচ, আদা,প্রতিনিয়ত কিনেছি। কিন্তু রোজার দিন থেকেই সব সবকিছু পন্য দাম অনেক বেশি।
কালাই পাচঁশিরা বাজারে সবজি ব্যবসায়ী ছানোয়ার হোসেন বলেন, বেগুন, আলু, শসা, টমেটো, লেবু, কাঁচা-মরিচসহ প্রতিটি সবজিতে কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়েছে। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় বাড়ছে দাম। তাছাড়া পাইকারি কিনতে বেশি হওয়ায় আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
কালাই বাসস্ট্যান্ডে এলাকার মুদি দোকানদার সজীব বলেন, আমাদের তো কোন কিছু উপায় নেই। আমরা পাইকারি দোকান থেকে যে দামে পণ্যে কিনছি তার থেকে লাভ্যংশ হিসাব করে বিক্রি করছি। এখন আমাদের কিছু লাভ তো করতে হবে। তবে কেউ কেউ ই”ছাকৃত দাম বৃদ্ধি করার পায়তারা করে এটা সত্যি।
কালাই বাজারে হাট করতে আসা দিনমজুর শ্রমিক বলেন, রমজান মাসের শুরতেই থেকে ইফতারীসহ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের জীবন চলার কষ্টকর হয়ে পড়ে ।
হাতিয়র বাজারে আসা এক বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিত্যপণ্যের উ”চমূল্যের কারণে ভোক্তারা খুব কষ্টে আছে। সাধারণ মানুষের জীবন যাপনের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাজারে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলার প্রশাসনকে জোরালো চেষ্টা করতে হবে এবং বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে।
এই বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি বলেন, প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীকদের নিয়ে নানা সচেতনতা বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। উপজেলার হাট-বাজার নিয়ন্ত্রণে জন্য আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এরপরও যারা দ্রব্যমূল্যের লঙ্ঘন করবেন তাদের বিরদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।