ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌর শহরের নিকট মনিরুজ্জামান নামে এক প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসকের সুনাম এখন মানুষের মুখে মুখে। মনিরুজ্জামান চিকিৎসা সেবার মান অত্যান্ত আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত। মনিরুজ্জামান প্রতিনিয়ত কোটচাঁদপুর উপজেলা ও আশপাশ এলাকায় মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন চক্ষু সেবা প্রদান করে আসছে। জেলা শহর থেকে দূরে হবার কারণে এবং কোটচাঁদপুর শহরে ভালো কোন চক্ষু হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক না থাকায় ওই এলাকার প্রতন্ত অঞ্চলের মানুষ উন্নত চক্ষু চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর একারণেই মনিরুজ্জামান খুলনার নামকরা শিরোমণি চক্ষু হাসপাতাল থেকে প্যারামেডিকস হিসাবে চাকুরী জীবন শেষ করে। এলাকায় গরিব অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি এই চক্ষু সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানাযায় মনিরুজ্জামান অনেক ভালো মানের একজন প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসক। তিনি চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ( ইআইটিসি) থেকে চোখের উপর প্যারেমেডিকেল কোর্স সম্পূর্ণ করেছেন। এছাড়া মনিরুজ্জামান নওগাঁর একটি চক্ষু হাসপাতালে চাকরি করার সময় সুনামের সাথে চোখের চিকিৎসা সেবা দিয়ে এসেছেন।
গরিবের চক্ষু চিকিৎসক মনিরুজ্জামান শেষ বয়সে এসে তিনি কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও আশপাশের এলাকার মানুষের চোখের সেবার জন্য খুলনা শিরোমণি চক্ষু হাসপাতালের সাথে কথা বলে। গরিব অসহায় বৃদ্ধ বয়স্ক মানুষের বিনামূল্যে চোখ অপারেশন করার ব্যাবস্থা করে দেন। স্থানীয় জনসাধারণ বলেন মনিরুজ্জামান একজন এলাকার সুনামধন্য চক্ষু চিকিৎসক তিনি বহু রোগীর বিনামূল্যে সেবাদান ও ফ্রী ঔষধ প্রদান করেন। তিনি একজন মানবিক মনের মানুষ। তার কাছে চোখ দেখিয়ে আমরা সুস্থ হয়েছি। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিষয়ে, মনিরুজ্জামানের কাছে সরাসরি জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট আবেগ প্রবণ হয়ে বলেন চোখ অত্যান্ত সেনসেটিভ জিনিস। আমি যখন ছোট সেসময় আমার এলাকায় অনেকের চোখের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার অভাবে ভোগান্তিতে পড়ত। তাই আমি মনে করলাম আমি যেহেতু চোখের উপর ডিপ্লোমা করা আছে তাই এসব মানুষের চক্ষু সেবা দিয়ে যাবো। যদিও সরকারি বাধ্যবাধকতার কারণে নিজেকে কখনো ডাক্তার পরিচয় দেবার সুযোগ নেই। মনিরুজ্জামান বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে এই কোটচাঁদপুর উপজেলায় একটি চক্ষু হাসপাতাল গড়ে তুলবো সেখানে অনেক বড় বড় এমবিবিএস ডাক্তার দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের চোখের আলো ফিরিয়ে দেবে ইনশাআল্লাহ শেষ জীবনে এই একটাই চাওয়া।
এলভী কাজল /চিকিৎসা সেবা